ইন্দোনেশিয়া ঘুরতে গিয়ে বালিতে যায়নি এমন মানুষ মেলা ভার। পাহাড়-পর্বত, প্রাকৃতিক হ্রদ আর সমুদ্র বেষ্টিত বালির হরেক রকম ট্যুর প্যাকেজের মাঝে অন্যতম আকর্ষণ হল মাউন্ট বাটুরের চূড়া আরোহণ আর বাটুরের চূড়ায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় দেখা। পাহাড়ের প্রতি আমার অমোঘ আকর্ষণ। আর তাই সাগর দেখার পরিকল্পনা নিয়ে বালিতে গেলেও মাউন্ট বাটুরের কথা জানার পর নিজেকে আর সামলে রাখা গেলো না। দেশে বিদেশে অনেক পাহাড়ে গেলেও বৈচিত্রময়তায় মাউন্ট বাটুর আমার কাছে সেরাদের অন্যতম। বাটুরের সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল এটা একটা জীবন্ত আগ্নেয়গিরি। এর আগে আমি জাপানের মাউন্ট ফুজি, মাউন্ট যাও এবং হাওয়াই এর ডায়মন্ড ক্রেটারে গিয়েছি যার সবগুলোই ছিল মুলত মৃত আগ্নেয়গিরি। আর তাই জীবন্ত আগ্নেয় পর্বত বাটুর আমার কাছে একদম নতুন একটা অভিজ্ঞতা। চূড়ার কাছাকাছি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য জ¦ালামুখ কিংবা সুড়ঙ্গ, যার সবগুলো থেকেই প্রতিনিয়ত গলগল করে বেরিয়ে আসছে গরম ধোঁয়া আর বাস্প। পায়ের নিচের মাটির উষ্ণতা বারবার জানিয়ে দিচ্ছে এই পর্বতের অভ্যন্তরে কত কত লাভা টগবগ করে ফুটছে সারাক্ষণ। সবচেয়ে মজার যে বিষয়টা ছিল যে এই গরম বাস্পে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিযাত্রীরা খুব আনন্দের সাথে ডিম সেদ্ধ করে খাচ্ছেন।
মাউন্ট বাটুর নিজে নিজেই পথ চিনে যাওয়া যায়। পথ ভুল করার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। কিন্তু সেখানকার একটা অলিখিত নিয়ম হল কোন স্থানীয় গাইড ছাড়া মাউন্ট বাটুরে একা যাওয়া যাবেনা। বালি একটি পর্যটন নগরী অতএব, এটা তাদের একটা ব্যবসা। ইন্টারনেটে কয়েকজনের রিভিউতে পড়েছিলাম একা যাবার চেস্টা করাতে স্থানীয় গাইডরা তাদের নাজেহাল করেছে বেশ। আমি যেহেতু একা তাই ভাবলাম অন্য দেশে গিয়ে কোন উটকো ঝামেলায় জড়ানোর কোন মানে নেই। তাই, তারা যেভাবে চায় সেভাবে যাওয়াটাই আপাতত ভাল সিদ্ধান্ত ভেবে নিয়েই পুরো পরিকল্পনাটা সাজানো শুরু করলাম।
ভউবুডে পৌঁছে কয়েকটা ট্যুর এজেন্সীর সাথে কথা বলে বুঝতে পারলাম মাউন্ট বাটুরের জন্য ট্যুর রেট কেমন হতে পারে। সেই রেটে আমার হোটেল থেকেই ট্যুর বুক করলাম। যেহেতু সূর্যোদয় দেখাটাই মূল আকর্ষণ তাই ট্যুর শুরু করতে হবে ভোর হবার আগেই। সে অনুযায়ী আমাকে জানানো হল রাত দুইটায় ট্যুর কোম্পানি গাড়ী পাঠাবে আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। অতএব, সেদিন আর বেশী ঘুরোঘুরি করে সময় নষ্ট করলাম না। হোটেলের কাছেই “মাঙ্কি ফরেস্ট”, সেখানে কিছুটা সময় ঘুরে বেড়িয়ে, খাওয়া-দাওয়ার পাট চুকিয়ে রাত নয়টার মধ্যেই ঘুম। রাত পৌনে দুইটার সময় ঘুম থেকে উঠে রেডি হয়ে যথাসময়ে রওনা হলাম ট্যুর কোম্পানীর পাঠানো গাড়িতে করে। উবুডের অন্যান্য কিছু হোটেল থেকে আরো কয়েকজন ট্যুরিস্টকে তুলে নেয়ার পর প্রথমে গেলাম ট্যুর কোম্পানীর অফিসে সেখানে পৌঁছে সবাই কলা রুটি ( কলা গোলগোল করে কেটে আমাদের দেশী রুটিতে বিছিয়ে ভাজলে যেমন হবে) আর চা দিয়ে নাস্তা সেরে নিলাম। খাওয়া শেষে আবার যাত্রা শুরু। আমাদের গন্তব্য মাউন্ট বাটুরের বেস।
ভোর চারটা নাগাদ বেসে পৌঁছে দেখলাম ইতিমধ্যেই আমাদের ১১ জনের জন্য দুই জন গাইড অপেক্ষা করছে। ঘোর অন্ধকারে হেডল্যাম্প আর টর্চ জ¦ালিয়ে শুরু হল আমাদের পথচলা। দলের শুরুতে একজন গাইড আর শেষে একজন গাইডকে নিয়ে বনের ভিতর দিয়ে এবড়ো থেবড়ো পথে হেঁটে চলেছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই বন শেষ করে পাহাড়ের গা বেয়ে উঠা শুরু করলাম। অন্ধকার ফুঁড়ে বেরিয়ে যাওয়া ট্রেকারদের টর্চের আলো খাঁড়া পাহাড়ের গায়ে যে রেখার সৃস্টি করছিল সেটা দেখে তো আমার চোখ ছানাবড়া। অন্তত ৪৫ ডিগ্রী কোণ তৈরী করা সেই আলোর রেখা দেখে ভাবছিলাম এই এতো খাঁড়াই পাড়ি দিয়ে মাউন্ট বাটুরের সামিটে যাওয়া বুঝি আর হলোনা। যদিও প্রথমটায় বেশ ভালো এগিয়ে যাচ্ছিলাম। দলের একেবারে সামনেই ছিলাম আমি এতক্ষণ। কিন্তু যতই উপরে উঠছিলাম ততই গতি কমছিল আমার। মাউন্ট ফুজি আরোহণের কথা মনে পড়ছিল বারবার। অনেকটা একই ধরণের ট্রেইল হলেও বাটুরের পথটা অনেক বেশী বন্য। দুয়েক জায়গা ছাড়া কোথাও সমতলের চিহ্নমাত্র নেই। একটানা খাঁড়া উঠে যেতে হচ্ছিল পুরোটাই। ৭০০ মিটার উচ্চতা থেকে যাত্রা শুরু করেছিলাম যার প্রায় পুরোটাই ছিল বড় বড় সব পাথর দিয়ে ভরা। সিড়ির মত করে সেই সব পাথরের দঙ্গল ডিঙিয়ে উপরে মোটামুটি ১০০০ মিটার পর্যন্ত পৌঁছেই মনে হচ্ছিলো ক্লান্তির শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি।
আমাদের দলে ছিল তিন জন স্প্যানিশ মেয়ে। ওরা গান গাইতে গাইতে এগোচ্ছিলো। অন্ধকার পথ, হেডল্যাম্পের আলো আর ওদের গান সব মিলিয়ে বেশ একটা উৎসবের আমেজ নিয়ে পথ চলেছি সবাই। আর এভাবে চলতে চলতে ভোর ছয়টা নাগাদ পৌঁছে গেলাম ১৫০০ মিটার উচ্চতায়। একবারে যথার্থ একটা সময় ছিল তখন কারণ ওই সময়টাতে সূর্যের প্রথম আলোর লালচে আভায় মাখামাখি হয়ে ছিল পূবের আকাশ। প্রায় এক ঘন্টার মত উপভোগ করলাম সূর্যোদয় আর আকাশের লাল-কমলা আলো গায়ে মেখে ভেসে চলা সাদা মেঘের হুড়োহুড়ি। খুব কাছেই দেখা যাচ্ছিল মাউন্ট আগুং আর তার নিচের স্বচ্ছ নীল জলের নয়নাভিরাম বাটুর লেক। মেঘ, পর্বত, লেক, সূর্যের ছড়িয়ে পড়া বর্নীল আলো সব মিলিয়ে এ যেন অপার্থিবতায় নিমগ্ন কোন রহস্যপুরী। এতো এতো সৌন্দর্যের ভীড়ে ক্লান্তিগুলো কখন যে মেঘেদের ভেলায় চড়ে কোথায় কোন সুদূরে হারিয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি। সামিট থেকে তখনো ২১৭ মিটার নীচে আমি। সময় বয়ে গেলেও দেখলাম অন্যদের মধ্যে সামিটে যাবার তেমন কোন তাগিদ নেই। কারো নড়াচড়া না দেখে অবশেষে আমি গাইডকে জানালাম আমি সামিটে যেতে চাই। অন্যরা কেউ আর সামিটের ব্যাপারে আগ্রহী নয় তাই ঠিক হল একজন গাইড তাদের নিয়ে নীচে নেমে যাবে। আর আরেকজন গাইড আমাকে নিয়ে যাবে সামিট পর্যন্ত।
যে গাইড আমাকে সামিটে নিয়ে গেল তার নাম ভিদিয়া। অল্প বয়সী এক ইন্দোনেশিয়ান মেয়ে। সে প্রায় দুই বছর ধরে মাউন্ট বাটুরে গাইডের কাজ করছে। সপ্তাহে ৫ দিন সে মাউন্ট বাটুরে আসা যাওয়া করে শুনে আমি তো রীতিমত অবাক! এই কাজ করে সে মাসে পায় মাত্র ১০০ডলার। যদিও এব্যাপারে তার কোন আক্ষেপ নেই এবং সে জানালো এই টাকা তার জন্য যথেষ্ট। তাছাড়া গাইড করার পাশাপাশি সে দিনের বেলায় তার পরিবারকে কৃষি কাজে সাহায্য করে। ভিদিয়াকে আমার খুব ভালো লেগেছিল কারণ আমার উচ্ছাস দেখে সেও অনেক উচ্ছসিত ছিল। পুরো ট্রেইলে আমি আমার ইচ্ছামত হেঁটেছি, থেমেছি, বসেছি। পেশাদার গাইডদের মাঝে তাড়াহুড়োর একটা প্রবনতা দেখা যায় অথচ ভিদিয়া একবারও আমাকে কোন রকম তাড়া দেয়নি কিংবা বিরক্তি প্রকাশ করেনি। পুরো পথ জুড়েই সে খুব বন্ধুবৎসল ছিল যার কারণে পুরো ট্রেইলটা আমি একেবারে আমার মনের মত করে উপভোগ করতে পেরেছিলাম।
১৫০০ মিটার থেকে ১৭১৭ মিটারের সামিটে যাবার ট্রেইলের পুরোটাই ছিল নুড়ি আর বালুতে ভর্তি। বলা চলে খাঁড়া একটা বালুর ট্রেইল। বড় বড় মোটা দানার কালো বালু তাও আবার ভেজা, স্যাতস্যাতে। পা রাখার পর যথাস্থানে পা রাখাটাই যেন একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ। বারবার পিছলে যাওয়া পা নিয়ে, দুই পা আগাই এক পা পিছাই এমন করতে করতে অবশেষে সামিটে পৌঁছে গেলাম। সামিটে বসার জন্য দুটো বেঞ্চ ছিল। বেঞ্চে বসে ক্লান্ত শ্রান্ত আমি মন ভরে দেখে দেখে নিচ্ছিলাম চারিদিক। মেঘেদের উড়োউড়ি, বাতাসের একটানা শব্দ, দূরের পাহাড়, নান্দনিক নৈসর্গ সব কিছু যেন আমার অপেক্ষাতেই ছিল। টুকরো টুকরো মেঘ এসে ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছিল কিছুক্ষণ পর পরই। মাউন্ট বাটুরের চূড়ার একেবারে সামনেই মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে থাকা ৩০৩১ মিটার উচ্চতার মাউন্ট আগুংকে দেখে মনে হচ্ছিলো যেন পথ আগলে দাঁড়িয়ে থাকা রূপকথার কোন অতিকায় দানব। মাঝে মাঝেই মেঘ এসে সব দৃশ্য আড়াল করছিল। আবার মেঘ সরে গেলেই দেখতে পাচ্ছিলাম অকৃপণ অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এ যেন মেঘের চাদর জড়িয়ে পৃথিবীর লুকোচুরি। এর মাঝে ভিদিয়া পরামর্শ দিলো আমরা যে পথ ধরে উপরে উঠে এসেছি সে পথে না নেমে পুরো ক্রেটারটা ঘুরে নীচে নামলে বেশি উপভোগ করব। অনেক ধন্যবাদ আমার গাইডকে কারণ এত ভালো একটা পরামর্শের জন্যই আমি মুলত মাউন্ট বাটুরের রূপ, সৌন্দর্য পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে পেরেছিলাম। এবং সেই সাথে এও উপলব্ধি করেছিলাম যে শুধুমাত্র সূর্যোদয়ই নয়, মাউন্ট বাটুরের সামিট সহ পুরো ক্রেটার ঘুরে নেমে না আসলে পুরো ভ্রমণের অনেক কিছুই অপূর্ণ থেকে যাবে।
বেশ কিছুটা সময় সামিটে কাটিয়ে অতঃপর ক্রেটার ঘুরে নামতে শুরু করলাম। ক্রেটারের চারপাশের দৃশ্য দেখে মনে হচ্ছিল চেনা জানা পৃথিবীর বাইরে অন্য কোন এক অচেনা অজানা গ্রহের মাটিতে এসে উপস্থিত হয়েছি আমি। ট্রেইলের একপাশে ছিল মাউন্ট আগুং আর বাটুর লেক আর অন্যপাশে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে নির্গত কালো পাথরের একটা স্তর। উবুড শহরটাকেও বেশ দেখা যায় এখান থেকে। আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গর্তগুলো থেকে অবিরত গরম ধোঁয়া বের হচ্ছে। খানিকটা কৌতুহল নিয়েই একটা গর্তে হাত ঢুকিয়ে দেখলাম প্রচন্ড গরম। যতই এই আগ্নেয়গিরির অভ্যন্তরে যাওয়া যাবে ততই বাড়বে এই তাপমাত্রা। আগ্নেয়গিরির কেন্দ্রের দিকের তাপমাত্রা ১৫০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসেরও বেশী হতে পারে। আনুমানিক ১৬০০ মিটার উচ্চতায় একটা অংশ ছিল দুইপাশে গভীর খাদ আর তার মাঝে দেড় ফুট মত প্রশস্ত চলাচলের রাস্তা। বেশ একটু ভয় ভয় লাগলেও রাস্তাটা পার হয়ে গেলাম খুব সহজেই। ক্রেটার ঘুরে আসা এদিকটায় ১৫০০ মিটার পর্যন্ত নামার রাস্তাটাও ছিল বেশ কঠিন কিন্তু চারপাশের সৌন্দর্য মনকে এতটাই বিমোহিত করে রেখেছিল যে কোন কস্ট কিংবা ভয় কাজ করেনি সেসময়। এতটাই মুগ্ধ ছিলাম আমি যে, বারবার আমার গাইডকে বলছিলাম যে আমি ফিরে যাব না, আমি এখানেই এই পাহাড়ের বুকে রয়ে যেতে চাই।
১৫০০ মিটারে ভোরবেলার সূর্যোদয় দেখা জায়গাটায় পৌঁছে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে মাউন্ট আগুংকে বিদায় জানিয়ে নীচে নামতে শুরু করলাম আবারো। নামার সময় অবাক বিস্ময়ে ভাবছিলাম রাতের অন্ধকারে এই ট্রেইল বেয়ে আমি কি করে উপরে উঠেছিলাম! নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করছিলাম, দিনের আলোতে এই ট্রেইল পরিস্কারভাবে দেখতে পেলে আমি কি উপরে উঠতে পারতাম আদৌ! ভয় পেয়ে কবেই পিছু হটতাম হয়তো। যাই হোক, উপরে ওঠা বাধ্যতামূলক ছিল না কিন্তু উঠেছি যখন নীচেতো নামতেই হবে। প্রখর রোদ মাথায় নিয়ে নামছি তো নামছিই। মাঝে মাঝে শুধু দুই পা-ই নয় দুই হাতেরও যথেষ্ট সদব্যবহার করতে হচ্ছিল এখানে ওখানে। গোড়ালীতে অনেক চাপ পড়লেও সহ্য করা ছাড়া কোন উপায় নেই। বরাবরের মত আবারো দুই সাইজ বড় জুতা ব্যবহার করার সুফল ভোগ করলাম নীচে নামার সময়। এটা এমন এক ট্রেইল যেখানে আমার গাইডও একবার উল্টে পড়েছিল। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে আমি কোন রকম অঘটন না ঘটিয়েই নেমে এলাম ১০০০মিটার উচ্চতায়। মিনিট কয়েক বিশ্রাম অতঃপর আবারও অবরোহণের পালা। উপরে উঠার সময় যে পথ ধরে এসেছিলাম সেই পথে না গিয়ে তার উল্টোদিকে কয়েক মিনিট হাঁটার পরেই একটা পাকা রাস্তায় গিয়ে উঠলাম। ভিদিয়ার কাছ থেকে জানলাম এই পথটা বেশী লম্বা আর উঠতেও সময় লাগে বেশী। তাই উঠার সময় সাধারণত বনের ভিতরের রাস্তাটাই ব্যাবহার করে সবাই। পাকা রাস্তা দিয়ে অল্প কিছুদূর যাবার পরেই দেখি উল্টো দিক থেকে একটা মোটর বাইক আসছে। আমার ফিরতে দেরী দেখে আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্যুর কোম্পানী থেকেই বাইক পাঠানো হয়েছে। অতঃপর সেই বাইকে চড়েই আমরা দুজন উঠে চলে গেলাম বাটুরের বেসে। সেখান থেকে গাড়ী করে ফিরে চললাম হোটেলের দিকে আর সাথে করে নিয়ে চললাম অসাধারণ কিছু অভিজ্ঞতার স্মৃতি।