সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে ইতোমধ্যে ৬৪ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্লাকার্ড হাতে সবাইকে সচেতন করেছেন ভ্রমণকন্যার স্বেচ্ছাসেবকেরা।
শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫ মে পর্যন্ত ছিলো প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর পোস্টার ডিজাইন প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য রয়েছে বই, সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য উপহারসামগ্রী।
সপ্তাহব্যাপী আয়োজনের ১ম দিন ছিলো ভ্রমণকন্যার প্রতিষ্ঠাতাদ্বয়ের উপস্থিতিতে সূচনা ও পরিচিতি পর্ব, আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর।
২য় দিন ছিলো স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ জাতীয় প্রফেসর ডাক্তার শাহলা খাতুন ম্যাম এর সাথে মাসিকের বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্ব।
৩য় দিন ছিলো বিভিন্ন পেশাজীবী নারীদের সাথে মাসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে তাদের মতামত নিয়ে আলোচনা।
৪র্থ ও ৫ম দিন ছিলো মাসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এমন ১০ টি জাতীয় সংস্থার সাথে পরিচয় এবং আলোচনা পর্ব ৷ উল্লেখ্য তারা বাংলাদেশ এর বৃহত্তম সংগঠন যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় মাসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
৬ষ্ঠ দিন আমাদের সাথে আলোচনায় ছিলেন বিশিষ্ট কার্টুনিস্ট ও লেখক আহসান হাবিব, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. নৌশিন শারমিন পূরবী, ডাঃ দেবব্রত আইচ মজুমদার এবং প্রথম আলোর ইলাস্ট্রেটর স্পেশালিষ্ট আরাফাত করিম।
৭ম দিন (২৮ মে) সমাপনি দিনে ভিন্ন ভিন্ন দেশের ৬ টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে আলোচনা এবং সর্বশেষ প্রধান অতিথির বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সপ্তাহব্যাপী কার্যক্রম শেষ হবে।
যাতে আন্তর্জাতিক সংগঠন হিসেবে থাকছে ভারতের Meri Body, সাউথ আফ্রিকা থেকে Team Free Sanitary Pads, মালয়েশিয়া থেকে Bulan Sisters, ইউএসের বোস্টন থেকে Love Your Menses, নাইজেরিয়া থেকে The flow game এবং ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কংগো থেকে Parlons Menstrues।
প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী (সম্মানিত স্পিকার, বাংলাদেশ পার্লামেন্ট)। সমাপনী দিন তিনি তার বক্তব্যে প্রজনন স্বাস্থের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন, পাশাপাশি ট্রাভেলেটস সহ আরো এমন অর্গানাইজেশন গুলো কে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, ফ্যামিলি প্ল্যানিং নিয়ে কাজের ফিল্ড গুলো সরকারের কাছে তুলে ধরার আহবান করেন। সকল কমিউনিটি কে ইউনিট হয়ে কাজের মাত্রা কে বৃদ্ধি করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। ভ্রমনকন্যার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
প্রতিষ্ঠানটির যৌথ প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ মানসী সাহা এবং ডাঃ সাকিয়া হক জানান, “২৮ মে মাসিক স্বাস্থ্য দিবস ” দিনটিকে উদযাপনের মধ্য দিয়ে আমরা চেষ্টা করছি সারা বাংলাদেশের মানুষকে এই ব্যাপারে সচেতন করতে। আমাদের অনেকগুলো প্রজেক্টের মধ্যে একটি হচ্ছে নারীর চোখে বাংলাদেশ। এই প্রজেক্টের কার্যক্রমের মাধ্যমেই ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ২৩ হাজারেরও বেশি সংখ্যক স্কুলগামী মেয়েদের সাথে আমরা ওয়ার্কশপ করেছি। তাদের জানাচ্ছি বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ, প্রজনন স্বাস্থ্য, আত্মরক্ষা কৌশল এবং খাদ্য-পুষ্টির মত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে।”
নারীর ক্ষমতায়ন ও কুসংস্কার দূরীকরণের মাধ্যমে মানবিক বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে ট্রাভেলেটস অফ বাংলাদেশ- ভ্রমণকন্যা।
ইভেন্ট সম্পর্কে আরও জানতে https://fb.me/e/3u2u11WR3